দেশের প্রখ্যাত শিশু বক্তা মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী বলেছেন, হিন্দুত্তবাদীদের পক্ষ নিয়ে শত শত আলেমদের জঙ্গি বানিয়ে নাটক সাজিয়ে বর্বর নির্যাতন করেছিলো, আটক করেছিলো, এমনকি হত্যা করতেও পিছু পা হননি খুনি শেখ হাসিনা। যাকে তাকে ধর্মের ট্যাগ লাগিয়ে, যা ইচ্ছে তাই করতেন তিনি। হাসিনা এসব করেছিলেন নরেন্দ্র মোদীকে খুশি করার জন্য। কিন্তু ওই মোদী শেখ হাসিনাকে গদিতে টিকিয়ে রাখতে পারেননি। ঠিক একইভাবে বর্তমান সরকারের উপদেষ্টা পরিষদেও ভারতের দালাল ঢুকে গেছে।
যশোরে দেশের প্রখ্যাত আলেম ও ইসলামিক স্কলারদের সমন্বয়ে ৩ দিনব্যাপী তাফসিরুল কুরআন মাহফিলের বৃহস্পতিবার ( ২ জানুয়ারি) দ্বিতীয় দিনে মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার মত একইভাবে যদি কেউ আলেমদের সাথে ষড়যন্ত্র করে। আলেমদের দিকে যদি কেউ চোখ তুলে তাকায়, তাহলে মুমিনরা বসে থাকবে না। আমরা আর কোনো জালেমদের, ইন্ডিয়ার গোলামদের বাংলার ক্ষমতার মসনদে দেখতে চাইনা।
তিনি জোর গলায় বলেন, পিন্ডি ছেড়েছি, দিল্লি ছেড়েছি, ওয়াশিংটনের গোলামির জন্য নয়।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা যেভাবে মানুষকে প্রকাশ্যে হত্যা করেছে। ছাত্র ভাইদের লাশ ফেলেছে। এতকিছুর পরও শেখ হাসিনার পক্ষে কোনো মানুষ থাকতে পারে না। তিনি
ইসরাইলি পণ্য বয়কটের জোর দাবি জানিয়ে বলেন, প্রয়োজনে আমরা ট্যাপের পানি খাবো, তারপরেও ইসরাইলের পণ্য আমরা খাবো না।
বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা থেকে যশোর শহরের পুলেরহাটের আদ্-দ্বীন সকিনা মেডিকেল কলেজ মাঠে এ মাহফিল শুরু হয়। শুরুতে কোরআন তেলোয়াত করেন আদ্ব-দীন ঢাকা মগবাজার মসজিদের ইমাম হযরত মাওলানা হাফেজ ক্বারী সাইদুল ইসলাম। পরে আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা: শেখ মহিউদ্দিন স্বাগত বক্তব্য দেন। ইসলামী সঙ্গিত পরিবেশন করেন সাইমন শিল্পী গোষ্টি, ঠিকানা শিল্পী গোষ্টি, তারার মেলো শিল্পী গোষ্টি।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) একই মঞ্চে বয়ান করবেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ও ড. মিজানুর রহমান আজহারি। এদিন এই দুই আলেমের বয়ানের মধ্য দিয়ে শেষ হবে তিনদিন ব্যাপী যশোরের এ আয়োজন।
সরেজমিনে তাফসির মাহফিলে দেখা যায়, বিভিন্ন ধরণের আলোকসজ্জা ও ব্যানার ফেস্টুন ও নানা স্টলে ছেয়ে গেছে পুরো পুলেরহাট এলাকা। মাহফিলকে কেন্দ্র করে পুলেরহাট বাজার ও আশপাশ এলাকায় বিভিন্ন পন্যের পসরা সাজিয়েছেন দোকানীরা। রাতদিন চলছে সেখানে বেচাকেনা। অনেকেই ওই এলাকায় রাতযাপনও করছেন। এছাড়া পুরো এলাকায় রয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যাকেই পুলিশের সন্দেহ হচ্ছে তাকেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এছাড়াও হাজারো স্বেচ্ছাসেবী দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।
খুলনা গেজেট/এএজে